অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ভ্যানচালকের বিরুদ্ধে। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরই অভিযুক্ত সামাদ শেখকে (৩৪) আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মেয়েটিকে শারীরিক পরীক্ষা ও বিচারকের কার্যালয়ে জবানবন্দির প্রক্রিয়া শেষে অভিভাবকের কাছে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তের বিচার চেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক মোশারেফ হোসেন জানান, গত মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে মেয়েটির বাড়ির পাশের গম ক্ষেতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরদিন বুধবার মেয়ের বাবা ভাঙ্গা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর ভাঙ্গা থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাটকামারি ইউনিয়ন থেকে সামাদ শেখকে আটক করে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযুক্ত সামাদকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি ৩ সন্তানের বাবা। ইতিপূর্বে গার্মেন্টসে কাজ করতেন, সম্প্রতি অটোভ্যান চালিয়ে সংসার চালান।
স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, আমার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে আমি কোনোরকম দিন যাপন করছি। আমার দ্বিতীয় মেয়ে ক্লাস থ্রিতে পড়াশোনা করে। মা মরা মেয়েটির দিকে কুদৃষ্টি দেয় আলগী ইউনিয়নের চরবালিয়া গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ভ্যানচালক বাবলু শেখ। বিভিন্ন সময় আমার মেয়েটিকে খাবারের লোভ দেখিয়ে কাছে টেনে নেয়।
ভুক্তভোগীর বাবা আরও বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে আমার মেয়ে পাশেই আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে যায়। দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে রাত ৯টার দিকে রাস্তা থেকে জোর করে তুলে গম ক্ষেতে নিয়ে যায় বাবলু শেখ। মুখ চেপে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে লোভ-লালসা এবং ভয়-ভীতি দেখিয়ে বাড়ির পাশে রেখে যায়। পরদিন বুধবার দুপুরে মেয়ে ব্যথার যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকলে বাড়ির লোকজন ঘটনা জানতে পারে। মেয়ে বেশি অসুস্থ হলে তার কাছ থেকে সবকিছু শুনি। পরে আমরা আইনের আশ্রয় নেই। আমি এই ধর্ষণকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
Leave a Reply